সুখবর! সুখবর! সুখবর!
অর্নব গোস্বামী, সুধীর চৌধুরী, অঞ্জনা ওম কাশ্যপ, দীপক চৌরাসিয়া, মানে সমস্ত গোদি মিডিয়ার জন্য দারুণ সুখবর।
পাকিস্তান ২০২০ তে প্রকাশিত প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে ৩ ধাপ পিছিয়ে ১৪৫-এ নেমে গেছে। আর বাংলাদেশ তো এক ধাক্কায় ৬ ধাপ পিছিয়ে তালিকাভুক্ত ১৮০ টি দেশের ভিতর ১৫১ নম্বর স্থানে নেমে গেছে।
আরে মশাই, মুসলিম দেশ!
ওখানকার সরকার তো নানাভাবে মিডিয়া হাউসের উপর চাপ সৃষ্টি করে তাদের স্বাধীন ভাবে কাজই করতে দেয়না।
অ্যাই, কোথায় গেল ইমরান খান?
ইন্ডিয়া ওয়ান্টস টু নো যে পাকিস্তানের সাংবাদিকদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে দেওয়া হয়না কেন?
দুটো মৌলবি, দুটো পন্ডিত স্টুডিওতে জুটিয়ে নিলেই কেল্লাফতে।
হিন্দু-মুসলিম খেলাটা বেশ ঝালিয়ে নেওয়া যাবে।
করোনার জন্য লাইফটা হেল হয়ে গেল মাইরি!
সাবধান! শুধু ঐটুকু নিয়েই খেলা চালিয়ে যেতে হবে কিন্তু।
কেউ যেন প্রশ্ন না করে বসে যে ভারতেও তো সরকার মিডিয়া হাউসের একটা বড় অংশকে প্রায় দালালে পরিণত করে রেখেছে। গৌরী লঙ্কেশ সহ বিভিন্ন নিরপেক্ষ সাংবাদিকদের হত্যা, নিগ্রহ বা মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করা নিয়ে তো মুখ খোলাই চলবেনা।
কেউ যেন বিজেপি নেতাদের রবিশ কুমারের শো বয়কট করা অথবা অভিসার শর্মা বা পুন্য প্রসূন বাজপেয়ীকে মোদী বিরোধী সংবাদ প্রচারের জন্য এপিবি থেকে পদত্যাগে বাধ্য করা নিয়ে প্রশ্ন না করতে পারে।
এসব কারণে ভারত নিজেও দু'ধাপ পিছলে ১৪২ এ চলে গেছে এটা কিন্তু বিলকুল চেপে যেতে হবে।
আরে মশাই, 'মোদী'ফায়েড ভারতে এইসব প্রশ্ন করা তো রীতিমতো দেশদ্রোহ।
কেউ যেন ভুল করেও প্রশ্ন না করতে পারে যে আফ্রিকার তথাকথিত কালা আদমির দেশগুলোও আমাদের তুলনায় অনেক উপরে আছে।
নামিবিয়া ২৩
ঘানা ৩০
বটসোয়ানা ৩৯
সেনেগাল ৪৭
গাম্বিয়া ৮৭
কেনিয়া ১০৩
অ্যাঙ্গোলা ১০৬
নাইজেরিয়া ১১৫
গুয়াতেমালা ১১৬
নিকারাগুয়া ১১৭
জাম্বিয়া ১২০
উগান্ডা ১২৫
জিম্বাবোয়ে ১২৬
আর শুধু কি আফ্রিকা?
অনেক মুসলিম দেশ পর্যন্ত সনাতনী 'মোদী'ফায়েড ভারতের উপরে আছে এই কথা যেন কেউ না জানতে পারে।
তবু্ও যদি কেউ প্রশ্ন করে যে কুয়েত ১০৯, আফগানিস্তান ১২২, কাতার ১২৯, আরব আমিরশাহি ১৩১, ওমান ১৩৫ নম্বরে আছে, তাহলে বোঝাতে হবে যে শেখেরা পেট্রো-ডলারের মাধ্যমে এসব আন্তর্জাতিক সংস্থাকে কিনে রেখেছে।
এতো গেল দূরের দেশের কথা।
এশিয়ার পুঁচকে পুঁচকে দেশ যেমন দ: কোরিয়া ৪২, তাইওয়ান ৪৩, জাপান ৬৬, ভুটান ৬৭, নেপাল ১১২, শ্রীলঙ্কা ১২৭, গৃহযুদ্ধ বিধ্বস্ত মায়ানমার পর্যন্ত ১৩৯, থাইল্যান্ড ১৪০ আমাদের পিছনে ফেলে দিয়েছে।
কোন বামৈস্লামিক দেশদ্রোহী যদি এইসব কুটিল প্রশ্ন করে তখনি তাকে খ্যাঁক করে চেপে ধরে বলতে হবে, "কেন আপনারা যাদের দালালি করেন সেই ভামপ্যান্টি রাশিয়া, চীন বা উত্তর কোরিয়া তো ভারতেরও নিচে আছে।"
নিশ্চিন্তে থাকুন লোকে আপনাদের কথা খাবেই খাবে। দেশের আম পাবলিক এত ভেবে দেখেনা যে উপরোক্ত দেশগুলোতে বর্তমানে আদৌ কমিউনিজমের কতটুকু চর্চা হয়ে থাকে।
সাধে কী বলছি ঘোর সুসময়।
নিন, এবার ঝপ করে শুরু করে ফেলুন দেখি।
0 মন্তব্যসমূহ