গল্পটা ৭৫ খৃষ্ট পূর্বাব্দের, অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ২১০০ বছর আগের। জুলিয়াস সিজার তখন ২৫ বছরের তরুণ। অধ্যয়নের উদ্দেশ্যে রোডসে যাওয়ার পথে পড়লেন জলদস্যুদের কবলে। বন্দি করে নিয়ে গেল এক দ্বীপে।
দস্যুরা মুক্তিপন চাইছিল ২০ ট্যালেন্ট। ট্যালেন্ট ছিল তৎকালীন রোমান মুদ্রা। যখন সিজার জানতে পারলেন যে দস্যুরা মাত্র কুড়ি ট্যালেন্ট চাইছে তখন তাদের পরামর্শ দিয়েছিলেন যে এত কম না চেয়ে অন্তত ৫০ ট্যালেন্ট যেন চায়।
বন্দি হলেও বন্দির মত আচরন তিনি করলেননা মোটেই। দস্যুদের তিনি বসিয়ে রেখে ছিলেন তার চারপাশে। আর যখনই তার ঘুম পেত তখনই তাদের ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে ছিলেন। সিজারের এসকল কার্যক্রম দেখে দস্যুরা ভেবে বসল বন্দির মাথায় নেহাত গণ্ডগোল।
এছাড়াও জুলিয়াস সিজার যখন যে কবিতা ও বক্তৃতার উপর কাজ করতেন সেটা তাদের শোনাতেন। তাঁর সৃষ্টিতে দস্যুরা মুগ্ধ না হলে বলতেন যে তার লেখা উপভোগ করার মত বুদ্ধি তাদের মগজে নেই।
৩৮ দিন দিনের মাথায় মুক্তিপণ দেওয়া হল। সিজার পেলেন মুক্তি। ফিরে এসে নৌবাহিনীর ব্যবস্থা করে আবার পৌঁছে গেলেন বন্দি থাকা সেই দ্বীপে। জলদস্যুরা তখনও ছিল সেখানেই। ধরে আনলেন তাদের।
কিন্তু পরে বাঁধ সাধলেন এশিয়ার গভর্নর, ইতস্তত বোধ করলেন জলদস্যুদের শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারে। নিরুপায় হয়ে সিজার নিজে কারাগারে গিয়ে সবক'টাকে ক্রুশ বিদ্ধ করে তবে শান্তির নিশ্বাস নিলেন।
0 মন্তব্যসমূহ