প্রতিটি মানুষের জীবনেই কম বেশি চ্যালেঞ্জের অভিজ্ঞতা থাকে। কেউ চ্যালেঞ্জ দেখে জীবনে এগোতে ভয় পায় আবার কেউবা সেই চ্যালেঞ্জকেই সামনের দিকে এগোনোর এক পথ অতিক্রমের পাথেয় করে জীবনের লক্ষ্যের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যায়। আসলে মানুষের জীবন এক পরীক্ষাই বটে। জীবনের পরীক্ষায় যারা কঠিন চ্যালেঞ্জ গুলোকে অতিক্রম করার বিশ্বাস নিজের মধ্যে রেখে সামনের দিকে অগ্রসর হয় তারাই জীবনের লক্ষ্যে সফলতা অর্জন করে। জীবনে চলার পথে এরকম অনেক মানুষের সান্নিধ্য আমরা পেয়ে থাকি যারা আমাদেরকে এবং আমাদের ভাবনাকে আঘাত দেওয়ার মাধ্যমে এটি দেখিয়ে দেয় যে এই আঘাত গুলোই হয়ত আমাদের ভেতরের এক আলাদা আমি-কে নতুন করে তৈরি করতে সক্ষম হতে পারে। কথায় আছে জীবনের আঘাত, কষ্ট মানুষকে নীচে ফেলেও দিতে পারে আবার জীবনের আঘাত, কষ্ট গুলোই মানুষকে জীবনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে সফলতার চূড়ান্ত মাত্রায়ও নিয়ে যেতে পারে। কে কিভাবে সেটা নিয়ে এগোবে তার ওপরই নির্ভর করে তার আগাম পন্থা। জীবনে চলার পথে বহু মানুষ আমাদেরকে পেছনে ফেলার চেষ্টা করবে আবার বহু মানুষ আমাদেরকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। কিন্তু কোনো মানুষ যদি তার নিজের বিবেকের কাছে পরিষ্কার এবং স্বচ্ছ থেকে নিজের কাজ করে যায় তাহলে তাকে তার জীবনের গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে কেউ কোনোদিন আটকাতে পারবেনা। প্রতিভাকে কোনোদিন থামিয়ে রাখা যায়না। তাই নিজের জীবনের চলার পথের সিঁড়ি গুলিকে যদি অতিক্রম করার মাত্রা নিজের পরিষ্কার মন ও বিবেক এবং কর্মের স্বচ্ছতার সহিত হয় এবং কঠোর পরিশ্রম, জীবনের স্বপ্ন, চ্যালেঞ্জকে ভয় নয় বরং নিজের কাজের মাধ্যমে যদি ভয়কে জয় করতে পারে কেউ তাহলে সফলতা নিজে এসে ধরা দেবে তার কাছে। উল্লেখ্য যে, প্রতিটি সফল মানুষের সফলতার পশ্চাতে থাকে তার জীবনের অনেক কঠিন সংগ্রাম ও বহু কষ্টের কাহিনী। কিন্তু তারা তাদের চ্যালেঞ্জ এবং সংগ্রামকে ভয় না পেয়ে ভয়কে জয় করতে পেরেছে জন্যই তারা পৌঁছে যেতে পেরেছে সফলতায়। তাই জীবনের প্রতিটি কঠিন বাস্তবতাকে মানুষ যদি চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যায় নিজের কর্মের সহিত তাহলে জয়ের হাসিটা সেই হাসবে। আর যে নিজের কর্ম, নিজের বিবেকের কাছে পরিষ্কার তাকে ত স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাও পথ দেখান তার গন্তব্যস্থলের।
0 মন্তব্যসমূহ