ন্যায়বিচার- অন্ধকার নাকি আলোর পথে

মানুষের জীবনের শ্রেষ্ঠ পন্থা হলো বিশ্বস্ততা। বর্তমানে এই বিশ্বাস শব্দটাই যেনো হারিয়ে গেছে অনেক ক্ষেত্রে। সমাজের বিভিন্ন ঘটনা, বিভিন্ন পরিস্থিতি মানুষের চোখে যেনো বারবার আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে যে সমাজে প্রকৃত ন্যায়বিচার প্রয়োজন। সমাজে বহু ক্ষেত্রেই মানুষ ন্যায়বিচার পায়না। বহু ঘটনায় দেখা যায় যে ক্ষমতার দম্ভে বহু মানুষ বিশ্বাসঘাতকতা বা অন্যায় করলেও তাদের বিরুদ্ধে কিছুই হয়না সঠিক সময়। বরং তারা তাদের ক্ষমতার দম্ভে সবকিছু যেনো কিনে নিতে চায়। কিন্তু সততা কি কেনা যায় কোনোদিন! সততা ত দুর্লভ সম্পদ। কোটি কোটি টাকার বিনিময়েও সততা কেনা যায়না। আর যারা ক্ষমতার দম্ভে অন্যায়ভাবে জেতার চেষ্টা করে তারা কি তাহলে এটা প্রমাণ করাতে চায় যে ন্যায়বিচার অন্ধকারের দিকে। সমাজে সকলের ত একটাই পরিচয় হওয়া দরকার আর সেটা হলো সবাই মানুষ। তাহলে কেনো ন্যায়বিচার সবাই সমান ভাবে পায়না। মানুষ যখন নিজের প্রতিভার দ্বারা সত্যকে সত্য আর মিথ্যেকে মিথ্যে বলার সাহস রাখে তখন যারা শুধু ক্ষমতার দম্ভে কারোর বাক-স্বাধীনতাকে আটকাতে চায় তাহলে সেটা কি ন্যায়বিচারের অন্ধকার দিক নয় কি! সমাজে বহু মানুষ বছর বছর ধরে তাদের ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় আজও যায় বহু জায়গায়। কিন্তু আদৌ কি তারা পায় ন্যায়বিচার! তবুও তারা তাদের জীবন সংগ্রামটা করে চলে তাহলে কিসের আশায়! ন্যায়বিচার শব্দটাই ত শুরু হয়েছিলো সমাজে প্রকৃত সাম্যতার বিচারের জন্য। কিন্তু সেটি যখন দুর্বল হয়ে যায় তখন সমাজের মানুষের মনে একটাই প্রশ্ন জেগে ওঠে  "ন্যায়বিচার- অন্ধকার নাকি আলোর পথে"!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ